বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী ক্যাম্পাসে এসে তাঁদের বিরক্ত করছে। এরা ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। হলে এসে নেশা করে, শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যায় আবদার করে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আজ সকালে কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। অবিলম্বে ক্যাম্পাস সন্ত্রাসমুক্ত না হলে বড় আন্দোলনে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা।
কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগে অধ্যয়নরত স্নাতকোত্তরের এক শিক্ষার্থী বলেন, কলেজের ছাত্র না হয়েও বহিরাগতরাই কলেজ নিয়ন্ত্রণ করে। হলে এসে নেশা করে হলের পরিবেশ নষ্ট করে। এদের অত্যাচারে প্রত্যেক শিক্ষার্থী অতিষ্ঠ। এদের হাত থেকে সবাই মুক্তি চায়।
কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম শওকত আলী খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নির্যাতিত হওয়ার কথা আমরা আগেও শুনেছি। এরই মধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা ক্যাম্পাসে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা লাগাব। পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ যেন ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পারে, সে বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। কয়েকজন সন্ত্রাসীর নাম জানতে পেরেছি। অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’